হারিয়ে যাওয়া নেতাজি সহযোগীর সন্ধানে-কৌশিক বিশ্বাস


কৌশিক বিশ্বাস

 

সহযোগীর সন্ধানে: কোথা থেকে শুরু করব জানিনা। আবার এর কাছে ২৩ শে জানুয়ারী হাজির হবে। আবার সমারোহে নেতাজী জন্ম জয়ন্তী করব। তারপর আবার নেতাজি থেকে যাবেন দেওয়ালে টাঙানো ছবি হয়ে অথবা নিছকই প্রস্তর মূর্তি হিসেবে। ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনের ইতিহাসে দিনাজপুর একটি উল্লেখযোগ্য নাম একথা আজ আর বলার অপেক্ষা রাখে না। হিলি মেল ডাকাতি হোক বা আগস্ট আন্দোলন ; এ জেলার মানুষ সবসময়ই অগ্রণী ভূমিকা দেশমাত্রিকাকে পরাধীনতার শৃঙ্খল থেকে মুক্ত করবার জন্য। তেমনই একটি নাম মাধব চন্দ্র রায়। জন্ম বর্তমান বাংলাদেশের ভাদুড়িয়া গ্রাম। ১৯২৮ সালে জালিম সিং এর কাছ থেকে নিয়েছিলেন বন্দুক চালাবার প্রশিক্ষণ। এই মানুষটিরও নেতাজির সঙ্গে ছিল নিবিড় যোগাযোগ। সেই যোগাযোগের শুরুর দিনগুলো ছিল এই রকম –

 


১৯৩১ সালের ২৬ শে জানুয়ারিতে কলকাতার কর্পোরেশন স্ট্রিট দিয়ে অনুমান সকাল দশটায় সুভাষ বসুর নেতৃত্বে বিরাট এক শোভাযাত্রা পদ পরিক্রমা আরম্ভ করে। আমি ওই সময়ে ওই শোভা যাত্রায় সামিল ছিলাম। শোভাযাত্রা কিছুদূর অগ্রসর হইলে টেগার্ট সাহেবের হুকুমে পুলিশ নির্দয় ও অমানুষিকভাবে লাঠিচার্জ আরম্ভ করে। অনেকেই আহত হয় এবং শোভাযাত্রা ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়। এক সার্জেন্ট তার বেটন দিয়ে সুভাষ বসুকে প্রহার করিতে উদ্যত হইলে সুপরিচিতা কংগ্রেস নেত্রী জ্যোতির্ময়ী গাঙ্গুলী উহা ঠেকাতে গেলে তাহার ডান হাতের কব্জিতে ভীষণ আঘাত লাগে। সুভাষ বেঁচে যান। নাহলে সেদিন তাকেও……………………..
(চলবে)

error: Content is protected !!