বিজেপি ছাড়লেন গাজলের প্রাক্তন বিধায়ক দিপালী বিশ্বাস

মালদা: বিজেপি ছাড়লেন গাজলের প্রাক্তন বিধায়ক তথা বিজেপি জেলা কমিটির সহ-সভা নেত্রী দিপালী বিশ্বাস।তার সাথে দল ছারলেন‌ দিপালী বিশ্বাসের স্বামী বিজেপি নেতা ও লোকসভা নির্বাচনে মালদা বিধানসভা কেন্দ্রের অবজারভার রঞ্জিত বিশ্বাস। বিজেপির সমস্ত পদ থেকে ইস্তফা। শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগড়ে দিয়ে বিজেপি ছাড়লেন দিপালী এবং রঞ্জিত।যোগ দিলেন তৃণমূলে। জেলা তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি আব্দুর রহিম বক্সী ও মালদা উত্তরের তৃণমূল প্রার্থী প্রসুন বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত ধরে তৃণমূলে যোগদান করেন। তৃণমূলের একটি নির্বাচনী সভার মধ্য দিয়েই গাজোলের তৃণমূলের পতাকা হাতে তুলে নেন। আর এই ঘটনার পরেই মালদার রাজনীতিতে তুমুল শোড়গোল পড়ে গিয়েছে। এদিন বিকেলে গাজোল ব্লকের কদুবাড়ী মোড়ে তৃণমূলর একটি নির্বাচনী সভার আয়োজন করা হয়েছিল। সেখানে উত্তর মালদার লোকসভা কেন্দ্রের দলীয় প্রার্থী প্রসূন ব্যানার্জির সমর্থনে জেলার প্রথম সারির নেতা-নেত্রীরা উপস্থিত হয়েছিলেন।

উল্লেখ্য ২০১৬ সালে বিধানসভা নির্বাচনে সিপিএমের টিকিটে গাজোল বিধানসভা কেন্দ্র থেকে জয়ী হয়। এরপর ২০১৬ সালের ২১ জুলাইয়ের মঞ্চ থেকে তৃণমুলে যোগদান করেন দিপালী বিশ্বাস। এরপর ২০২০ সালে ডিসম্বর মাসে বিজেপিতে যোগদান করেন। তাকে বিজেপি সহ সভাপতি ও দলের গুরুত্বপূর্ণ দ্বায়িত্ব দেন। পাশাপাশি দিপালী বিশ্বাসের স্বামী রঞ্জিত বিশ্বাস বর্তমানে পুরাতন মালদার বিজেপির পর্যবক্ষেক ছিলেন।

নেত্রী দিপালী বিশ্বাস বলেন, বড় ভুল করেছিলাম। শুভেন্দু অধিকারী ভুল বুঝিয়ে দলে নিয়ে গেছিল। মিথ্যা প্রতিশ্রুতিও দিয়েছে। একটা কথাও রাখে নি। মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি এবং সাংসদ অভিষেক ব্যানার্জি যে আমাকে দলে নিয়েছে আমি তাদের প্রতি চির কৃতজ্ঞ। বিজেপির মিথ্যা প্রতিশ্রুতি প্ররোচনায় যাতে আর কেউ পা না দেয়।

তৃণমূলের জেলা সভাপতি তথা বিধায়ক আব্দুর রহিম বক্সী বলেন,২০১৯ সালে মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দিয়ে বিজেপিতে নিয়ে গিয়েছিলেন। ২০২৪সালে বিজেপির মিথ্যাচার বুঝতে পেরে তারা তৃণমুলে এসেছে। ধসনামা শুরু হয়েছে। আগামীতে আরও হবে।

গাজলের বিজেপি বিধায়ক চিন্ময় দেব বর্মন বলেন,কিছু মানুষ স্বার্থসিদ্ধির জন্য দলে এসেছিলেন। স্বার্থসিদ্দি হয়নি তাই দল ছাড়লেন। এতে দলের কোন ক্ষতি হবে না।

error: Content is protected !!